Tuesday, January 27, 2015

আসছে গুগলের ওয়াইফাই ইন্টারনেট।

...


ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল রিপোর্ট করেছে যে, গুগোল পৃথিবীর প্রত্যান্ত অঞ্চলগুলোতে যেখানে ইন্টারনেট নেই সেখানে স্যাটেলাইট-এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সেবা দিবে। এর জন্য গুগোল ব্যায় করবে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

গুগোল ১৮০ টি ছোটো কিন্তু শক্তিশালি স্যাটেলাইট বসাবে যেগুলো নিম্ন উচ্চতা থেকে যারা এই প্রোজেক্টটির ব্যাপারে জানে তাদেরকে ইন্টারনেটের সেবা দিয়ে যাবে। আর এই প্রোজেক্টটি Greeg Wyler কর্তৃক পরিচালিত হবে। ইনি সেই ব্যাক্তি যিনি 03b networks –এর স্যাটেলাইট সিস্টেম সেটআপ করে দিয়েছিলেন। এছাড়া গুগোল Space System Loral LLC থেকে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিচ্ছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

আসছে গুগলের ওয়াইফাই ইন্টারনেট।


যদি এই প্রতিবেদনটি সত্য হয়ে থাকে তবে Wyler ১০-২০ জনের একটি টিম নিয়ে কাজ করবেন যারা সরাসরি গুগোলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের কাছে রিপোর্ট করবে। এই প্রোজেক্টটি কেবল কিংবা অন্য কোনো কিছুর কানেকশন ছাড়াই ইন্টারনেটের সাপোর্ট দিয়ে যাবে। এই প্রোজেক্টের কোনো বিস্তারিত বিবরণ কোম্পানিটি এখনো দেয়নি। তবে ওয়াল স্ট্রিটের মতে স্যাটেলাইটের সংখ্যা দ্বিগুন হতে পারে। তাহলে সেক্ষেত্রে খরচ দ্বিগুন পর্যন্ত হতে পারে।

ইন্টারনেট দেয়ার ক্ষেত্রে গুগোলের এটাই প্রথম পদক্ষেপ নয়। ইন্টারনেট প্রভাইডার বেলুন প্রজেক্টটি ইতিমধ্যে টেস্ট রানিং হিসেবে চলছে।

মানুষকে ইন্টারনেটের সুযোগ সুবিধা দানে গুগল সব সময়ে এগিয়ে। সম্প্রীতি তারা বাংলাদেশে গুগল বাস চালূ করেছে যার কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রায় ৫ লাখেরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে ইন্টারনেটের ব্যাপারে শিক্ষা দান করবে।

উড়ন্ত গাড়ি-২

...


গাড়ি এবং বিমান বা ফ্লাইং অবজেক্ট আবিষ্কার হয়েছে গত শতাব্দীর শুরুর দিকে । কিন্তু দুটোই আলাদা জিনিস। গাড়ি কখনোই আকশে উড়ে না , না বিমান কখনো গাড়ির কাজ করে । কিন্তু এদুটোর সমন্বয়ের জন্য মানুষের চেষ্টা চলছে অনেক বছর থেকে । দুটোর সমন্বয় নিঃসন্দেহে বেশ মজার ব্যাপার ।

এটি ২য় পর্ব ।


“terrafugia transition” -এর পর ২০১২ সালে দ্বিতীয়বারের মত উড়ন্ত গাড়ির টেস্ট ফ্লায়িং করে PAL-V ( Personal Air and Land Vehicle ) নামক একটি ডাচ কোম্পানী।



তারা তাদের এই গাড়িটির নাম দেয় PAL-V ONE । terrafugia transition – এর সবচেয়ে অসুবিধা ছিলো এর জন্য লাগতো একটি ১৬০ মিটার লম্বা রানওয়ে । কিন্তু PAL-V ONE যে কোনো সময়ে যেকোনো জায়গা থেকেই উড়তে পারবে। এর কারন হলো এতে Autogyro মেকানিজম ব্যাবহার করা হয়েছে ( Autogyro এর একটা উদাহরন হলো হেলিকপ্টার ) । তিন চাকা বিশিষ্ট এই গাড়িটি অনেকটা স্পোর্টস কার -এর আদলে করা হয়েছে । ২ ব্লেড রোটর বিশিষ্ট এর রোটর ফোল্ডেড অবস্থায় এটি ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি উচু , ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি প্রশস্ত এবং ১৩ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা । অনায়সে যে কোনো গ্যারেজে রাখা যাবে। এর সর্বোচ্চ গতি হলো ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার । তবে রিকোমেন্ডেড স্পিড হলো ঘন্টায় ১১২ কিলোমিটার ।

এই গাড়িটি মুলত যেকোনো জায়গায় ব্যাবহার যোগ্য । জ্যামপ্রবন এলাকা বা পানির উপর অথবা পাহাড় -এর উপর দিয়ে একে নিয়ে উড়াল দেয়া যাবে । এই গাড়িটি যে কোনো সমতল জায়গায় ল্যান্ড করার উপযোগী । এই গাড়িতে অনধিক ২ জন লোক বসতে পারবে।

তবে এই গাড়িটির দাম terrafugia transition দাম থেকেও বেশি । গাড়িটি্র দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ডলার বা ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার মত। ২০১৬ সাল থেকে এটি গাড়ির ডেলিভারী দেয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছে কোম্পানীটি।

উড়ন্ত গাড়ি-১

...

গাড়ি এবং বিমান বা ফ্লাইং অবজেক্ট আবিষ্কার হয়েছে গত শতাব্দীর শুরুর দিকে ।  কিন্তু দুটোই আলাদা জিনিস। গাড়ি কখনোই আকশে উড়ে না , না বিমান কখনো গাড়ির কাজ করে । কিন্তু এদুটোর  সমন্বয়ের জন্য মানুষের চেষ্টা চলছে অনেক বছর থেকে । দুটোর সমন্বয় নিঃসন্দেহে বেশ মজার ব্যাপার ।

সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে  “Terrafugia”  নামক একটি আমেরিকান কোম্পানি সর্বপ্রথম উড়ন্ত গাড়ি বের করে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটায় । মানব ইতিহাসে যোগ করে নতুন মাত্রা । তারা তাদের এই উড়ন্ত গাড়ির নাম দেয় “terrafugia transition” ।
এই গাড়ি রাস্তায় অন্যান্য সব গাড়ির মত চলবে । আবার একটি রানওয়ে পেলে হয়ে উঠবে “উড়া্লপঙ্খী ” ।  আকাশপথে এর স্পিড থাকে ঘন্টায় ১৭২ কিলোমিটার । অর্থাৎ আকাশপথে ঢাকা থেকে চিটাগং যেতে এর সময় লাগবে ২ঘন্টার মত । আর স্থলপথে এর সর্বোচ্চ গতি হলো ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার । ফোল্ডেড অবস্থায় এটি ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচু ,  ৭ ফুট ৬ ইঞ্চি প্রশস্ত এবং ১৮ ফুট ৯ ইঞ্চি লম্বা । কোনো বাড়ির গ্যারেজে  রাখার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে গাড়িটিকে । এই গাড়িটির রয়েছে ডানা,প্রপেলার এবং দুটি লেজ ।
গাড়িটি নিঃসন্দেহে প্রয়োজনীয় এবং দরকারী । বিশেষ করে জ্যামপ্রবন এলাকা এবং রুরাল এলাকাগুলোতে । তবে এই গাড়িটি কবে নাগাদ সাধারন মানুষের হাতের নাগালে আসবে তা বলা যাচ্ছে না। কারন ইতিমধ্যে গড়িটির দাম  রাখা হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার বা প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ টাকার মত । তাছাড়া এই গাড়ির জ্বালানি খরচও পড়বে অনেক । তার উপর ১৬০ মিটার লম্বা একটি রানওয়ে লাগবে এর আকশে উড়ার জন্য ।

আসছে নতুন প্রযুক্তি। ছাতার ঝামেলা শেষ !

...

বৃষ্টিতে ভিজা বা বৃষ্টির মধ্যে ছাটা নিয়ে হাটার মজাই আলাদা । কিন্তু সেটা অবশ্যই অফিস টাইম কিংবা কাজের সময়ে নয় । বরং কাজের সময় বৃষ্টি মানুষের ভোগান্তিই বাড়ায়। কারন ছাতা বহন করা বেশ ঝামেলার ব্যাপার স্যাপার । ভিজা ছাতা নিয়ে অফিসে বা বাসে অপ্রিতিকর অবস্থায় পড়া । বা ছাতা ভুল করে কোথাও রেখে আসার সমস্যায় পড়েননি এমন লোক খুজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু এখন সে ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে আসছে নতুন প্রযুক্তি।এই প্রযুক্তির নাম রাখা হয়েছে ” air umbrella ” । লম্বা টর্চ লাইটের মত এই প্রযুক্তি ছাতার বিকল্প হিসেবে ব্যাবহৃত হবে।


 এটি প্রচলিত ছাতার মত কোনো ছাতা নয় । এর মেকানিজম-কে আসলে কোনো ছাতার সাথেই মিলানো যাবে না। লম্বা দন্ডটির ভিতর থাকে ব্যাটারী এবং সবার উপরে থাকে একটি মোটর । ব্যাটারির সাহায্যে মোটর ঘুরতে থাকে ফলে এটা বৃষ্টির দিকে তাক করলে মোটর বৃষ্টির পানিকে ব্যাবহারকারীর মাথার উপর থেকে আশেপাশে সরিয়ে দেয় । এই ছাতাটি এখনো ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে আছে । তবে a, b, এবং c এই ৩ টি ক্যাটাগরীতে বিভক্ত এই ছাতাটির সর্বোচ্চ কাজের সীমা যথাক্রমে ১৫, ১৫ এবং ৩০ মিনিট । তবে এর ডেভেলপাররা এর সময় বৃদ্ধি করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছেন । ২০১৫ সালের শেষের দিকে এই ছাতাটি বাজারে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন এই ছাতাটির ডেভেলপাররা ।

Thursday, January 22, 2015

কম্পিউটারের গতি বাড়িয়ে নিন সফটওয়ার ছাড়াই!!

...

অনেক সময় দেখা যায় অনেক ভাল ও উন্নত কনফিগারেশন এর কম্পিউটার ও স্লো কাজ করে । এতে করে কাজ করতে অসুবিধায় পড়তে হয়। একটু দেখে কম্পিউটার ব্যাবহার করলে আমরা এ থেকে মুক্তি পেতে পারি । নিচে কম্পিউটার ব্যাবহারের গতি বাড়ানোর কিছু টিপস দেওয়া হল ১. এপ্লিকেশান চালুর আগে পিসির সঠিকভাবে বুট-আপ এ সময় দিন। তাড়াহুড়া করবেন না । ২. রিফ্রেশ করুন, তাতে অব্যবহৃত ফাইল র‍্যাম থেকে মুছে যাবে। ৩. ডেস্কটপের ওয়ালপেপার ছোট সাইজের/ লো রেজুলেশানের করুন। ৪. ডেস্কটপের আইকনের বাহার সাজানোর কোন প্রয়োজন নেই ৫. রি-সাইকেল বিন থেকে ফাইল পরিপূর্ণ ভাবে মুছে দিন ৬. ইন্টারনেট টেম্পরারি ফাইল যেমন কুকিস, ক্যাশ ইত্যাদি নিয়মিত মুছুন ৭. নিয়মিত(১৫ বা ৩০দিনে) হার্ড-ডিস্ক ড্রাইভ ডিফ্রেগ করুন। ৮. সফটওয়ার ইনষ্টল করুন ২টি ড্রাইভে। কারন সি ড্রাইভের ফ্রি স্পেস ভার্চুয়াল মেমরি হিসেবে কাজ করে যখন র‍্যাম ফুল ইউজ হয়। ৯. সফটওয়ার সেটাপের সময় ট্রে আইকন এবং অটো লোড এই দুইটা অপশন ডিজেবল করুন। ১০. ময়লা ও ধুলাবলিমুক্ত রাখুন পিসিকে। প্রয়োজনে নিয়মিত পরিষ্কার করুন। ১১. পিসি স্লো মনে হলে রিফ্রেশ করার পাশাপাশি রান এ গিয়ে TREE চাপুন।

কম্পিউটার কে এবার ১ সেকেন্ড এ বন্ধ করুন!!!

...

অনেকের মনে হতে পারে ভাই কম্পিউটার কি আসলেই এক সেকেন্ডে বন্ধ হবে? হ্যাঁ হবে কিনা একবার যাচাই করুন। যা করতে হবে… ১. আপনার কম্পিউটার এর task manager খুলুন। এটি ২ ভাবে খুলতে পারেন। ক. ctrl+alt+delete বাটন তিনটি একসাথে চেপে। খ. taskbar এ right বাটনে click করে সেখান থেকে task manager সিলেক্ট করে। ২. উপরে shutdown বাটনে click করে সেখান থেকে একইসাথে ctrl+shutdown এ click করে ছেড়ে দিন। ৩. দেখুন এবার মজা। কি খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে গেল তো!!! Thanks.

এবার মাইক্রোসফট আনছে বিশ্বের সবচেয়ে কমদামি ইন্টারনেট ফোন!!

...

মাইক্রোসফট নকিয়া কোম্পানি কিনে নেয়ার পর একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছে। এবার ও তার ব্যতিক্রম হয় নি। মাত্র ২৯ ডলার মূল্যের নকিয়া ২১৫ মডেলের এই ফোনটি এশিয়া, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে বেশ হিট হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মাইক্রোসফট। আর এফোনের সবচায়তে আকর্ষণ হচ্ছে এ ফোনে থাকবে অপেরা মিনি ব্রাউজার, বিল্ট ইন ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার এবং এর শক্তিশালী ব্যাটারি ২৯ দিন স্ট্যান্ডবাই থাকবে, এ ছাড়া টুইটারসহ অন্যান্য অ্যাপ। তবে এর স্পেসিফিকেশন সাধারণ। ডিসপ্লে ৩২০x২৪০ পিক্সেল, ক্যামেরা ০.৩ মেগাপিক্সেল, আছে রেডিও ও টর্চ। ফোনের দেহটি বেশ শক্তপোক্ত। এর শক্তিশালী ব্যাটারি ২৯ দিন স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এর সফটওয়্যার বেশ সূক্ষ্ম কাজ করতে পারে। এটি ৩জি সংযোগে কাজ করতে পারে। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট -

আপনার ডেস্কটপ কম্পিউটারটি পকেটেই ভড়ে নিতে পারবেন!!!

...

ইন্টেল বাজারে আনতে যাচ্ছে এইচডিএমআই কম্পিউটার স্টিক যেটি এইচডিএমআই সমর্থিত
ডিসপ্লে কিংবা টিভি’তে স্টিকটি যুক্ত করলেই ডিসপ্লেটি মুহূর্তেই রূপ নেবে
ডেস্কটপ কম্পিউটারে।সম্প্রতি লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত সিইএস ২০১৫-এ প্রদর্শন করা হয় এই
ডিভাইসটি।
এটি চলবে উইনডোজ ৮.১ অপারেটিং সিস্টেমে এর সাথে থাকবে আছে কোয়াড
কোর ইন্টেল অ্যাটম প্রসেসর, ৩২ জিবি স্টোরেজ ক্যাপাসিটি, ২ জিবি র‍্যাম।
এছাড়া আছে ইউএসবি পোর্ট, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই প্রভৃতিত সাথে থাকছেই।পরবর্তিতে লিনাক্স অপারেটিং চালিত অপর একটি সংস্করণ বাজারে আনতে পারে ইন্টেল যাতে থাকবে ১ জিবি র‍্যাম এবং ৮ জিবি স্টোরেজ।
দাম কেমন?দাম হাতের নাগালেই

১৪৯ ডলার দাম পড়বে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালিত ডিভাইসটির এবং ৮৯ ডলার দাম পড়বে লিনাক্স চালিত ডিভাইসটির।

Friday, January 2, 2015

সদ্য পরিচিতদের সঙ্গে ই-মেইলে যে ৯টি কাজ করবেন না !

...

পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কএডিনে ইমেইলের নিরাপত্তা বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন এক বিশেষজ্ঞ। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে অনেক কিছু করা যায়। আবার অনেক কাজই রয়েছে যা করাটা বিপজ্জনক। বিশেষ করে ই-মেইলে নতুন যাদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে ৯টি কাজ না করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ১. মেইল পেয়েছে কি না তা জানতে চাওয়া অতীতে ইলেকট্রনিক রিটার্ন রিসিপ্ট বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হতো। এগুলোর মাধ্যমে মেইলের বিষয়ে আপনি সচেতন বোঝানো গেলেও বর্তমানে এর কোনো প্রয়োজন পড়ে না। আর সদ্য পরিচিতদের কাছে ইমেইল পাঠিয়ে তা নিশ্চিত হতে জানতে চাওয়া উচিত নয়। ২. একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া নিজের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করবেন না। এতে অন্যের কাছে থেকে সমালোচনা শুনতে হতে পারে। এর চেয়ে বড় বিষয় তা আপনার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তা ছাড়া অন্যরা তা শেয়ার করবে এবং বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়বে যা আপনার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ৩. নিজের বানানো কিছুতে ফিডব্যাক চাওয়া নিজের কোনো পণ্য, সেবা, প্রযুক্তি বা আইডিয়ায় নতুন কারো কাছ থেকে কমেন্ট বা লাইক চাবেন না। তার চেয়ে বরং পরামর্শ চাইতে পারেন। তাহলে অনেক ইতিবাচক ফিডব্যাক পাবেন। ৪. আজ-কালের মধ্যেই ফোন দেওয়া সদ্য পরিচিত হয়েই মোবাইল নম্বরটি নিয়ে ফোন দিতে যাবেন না। বিশেষ কোনো বিষয়ে ইমেইল দেওয়া-নেওয়া চলতে থাকলে হয়তো কথা হবে। কিন্তু বেশি দ্রুত সেই উদ্যোগ আপনার নেওয়া উচিত হবে না। ৫. সাক্ষাতের বিকল্প খোঁজা অনেক বিষয় রয়েছে যেখানে মুখোমুখি হওয়াটা সমস্যার হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দেখা করাটা সমস্যা কি না বা করতে অন্যজন ইচ্ছুক কি না তা জেনে নিতে হবে। এর বিকল্প অন্য কোনো পথে চিন্তা করার প্রস্তাব দেওয়া যেতে পারে। ৬. গুটিকয়েকের সঙ্গে পরিচিত হওয়া বিশেষ কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া উচিত। তা ছাড়া যারা যোগাযোগে আগ্রহী নন, তাদের বিরক্ত করা উচিত নয়। ৭. প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে ইমেইল করা প্রথমে কারো সঙ্গে পরিচিত হলে তার কাছে থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পাওয়া যায়। কিন্তু প্রতিদিন বা ঘন ঘন তাদের কাছে মেইল পাঠানোটা বিরক্তিকর হতে পারে। ৮. অন্যের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া নতুন পরিচিতজনকে খুব দ্রুত অন্যের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়াটা অস্বস্তিকর হতে পারে। ৯. একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব প্রথম দিন ডেটিং করে নিশ্চয়ই দ্বিতীয় দিন আপনি বিয়ের প্রস্তাব দিতে যাবেন না। কাজেই সদ্য পরিচিতকে প্রথমেই একসঙ্গে কোনো কাজ করার প্রস্তাব দিতে পারেন না।

গুগলের আয়ের উৎস কী?

...


গুগল নিজেদের এমন এক অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে যে এখন ইন্টারনেট আর গুগলকে একে অন্যের পরিপূরক বললেও খুব একটা ভুল বলা হয় না অন্তত গত এক দশকে মানুষ যেভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে বা এখনও করছে তাতে ধরনের বক্তব্য খুবই যুক্তিসঙ্গত
১৯৯৬ সালে একটি গবেষণা প্রকল্পের অংশ হিসেবে ল্যারি পেজ সের্গেই ব্রিন নামের দুই শিক্ষার্থী সার্চ ইঞ্জিন গুগল তৈরির কাজ শুরু করেন। এর দুবছর পর ১৯৯৮ সালে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে গুগল

১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বদলে গেছে অনেক কিছু। সহজলভ্য হয়েছে ইন্টারনেট। জ্যামিতিক হারে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। নিজেদের ঢেলে সাজিয়েছে গুগলও। গুগল এখন একটি মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি। ইন্টারনেট সম্পর্কিত বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এরমধ্যে সর্বাধিক ব্যবহৃত সেবাটি হলো গুগল সার্চ ইঞ্জিন
এটি এখন বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান। ২০১৩ সালে গুগলের মোট রাজস্ব আসে হাজার ৯৮২ কোটি ডলার। মোট সম্পত্তি ১১ হাজার ৯২ কোটি ডলার। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৭৫৬ জন
কিন্তু প্রশ্ন হলো এতো বড় কোম্পানি চলে কীভাবে? কীভাবে উপার্জন করলো এতো অর্থ? এখনও কীভাবে করছে? গুগল যে নিজেই শুধু বিরাট অংকের অর্থ উপার্জন করেছে তাই- নয় সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষকেও গুগল অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে
প্রতিবছর গুগল যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে তার ৯৯ শতাংশই আসে বিজ্ঞাপন থেকে। জনপ্রিয়তা লাভের পরপরই অনলাইন বিশ্বের এই সার্চ জায়ান্ট নিজেদের বিনিয়োগকৃত অর্থ উত্তোলনের ব্যাপারে তোড়জোর শুরু করে। লক্ষ্যে তারা চালু করেগুগল অ্যাডসেন্সনামের একটি সেবা। অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দাতারা খুব সহজেই অনলাইনেই তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন
এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনদাতাদের সামনে নির্দিষ্ট কয়েকটি পদ্ধতি রেখেছে গুগল। যার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতারা বিজ্ঞাপনের অর্থ পরিশোধ করে থাকে
ছোট্ট একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করে যাক- ধরুন, একজন বিজ্ঞাপনদাতা তার পণ্য প্রচারের জন্য ৫০০ ডলারের বিনিময়ে গুগলের এডওয়ার্ডস টুলস থেকে বিজ্ঞাপন সেবা গ্রহণ করলো। বিজ্ঞাপনদাতার দেয়া এই ৫০০ ডলার থেকে গুগল কমিশনবাবদ কেটে রাখবে ৩৩ শতাংশ অর্থ। এই ৩৩ শতাংশ অর্থই হলো গুগলের উপার্জনের মূল উৎস। বিজ্ঞাপনদাতার দেয়া বাকি অর্থটা অর্থাৎ ৬৭ শতাংশ অর্থ যাবে সেইসব ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিকের কাছে যারা ওই পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করবেন।
এছাড়াও অ্যানড্রয়েড, ইউটিউব, গুগল সার্চইঞ্জিন ইত্যাদিরও অর্থ উপার্জনের মূল উৎস হিসেবে গুগল তার বিজ্ঞাপনী পরিষেবা অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে থাকে। গুগলের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে তাদের বিজ্ঞাপন থেকে তাদের আয় হয়েছে হাজার ২০ কোটি ডলার

বিনা মূল্যের সেরা সফটওয়্যার!!!

...

গত বছরে বিশ্বের অন্যতম সেরা ওয়েব ব্রাউজার হিসেবে ক্রোমকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে গুগল ওয়েব দুনিয়ায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুগল ব্যবসা করলেও উইন্ডোজের ক্ষেত্রে ক্রোম দিয়ে সেরা ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা দিতে পেরেছে গত বছর গুগল ক্রোমকে উন্নত করতে বেশ কিছু আপডেটও এনেছে গুগল
মাইক্রোসফটের এক সময়ের জনপ্রিয় ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজার ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার হিসেবে গুগল ক্রোমের কাছে আগেই মার খেয়ে গেছে। গুগল ক্রোমের কাছ থেকে দূরে ছিটকে গেছে মজিলা ফায়ারফক্স অ্যাপলের সাফারি ব্রাউজারও। ২০১৪ সালে গুগল ক্রোমযুক্ত বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে সিনক্রোনাইজেশন সুবিধা চালু করেছে, যা খুব সহজে ব্যবহারকারীদের মন জয় করেছে।
যাঁরা অনিয়মিত অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করেন, তাঁরাও ক্রোম সিনক্রোনাইজেশন বুকমার্ক ব্রাউজিং তথ্য কম্পিউটার থেকে সহজেই ফোনে নিতে পেরেছেন। ছাড়া স্বয়ংক্রিয় সিনক্রোনাইজেশন সুবিধাও ক্রোমের ব্যবহার অভিজ্ঞতাকে উন্নত করেছে।
ক্রোম ওয়েব স্টোর ছাড়াও বিভিন্ন এক্সটেনশন ব্যবহার করার সুবিধা দিয়েছে ক্রোম।বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিনা মূল্যের ব্রাউজার হিসেবে সব বড় প্ল্যাটফর্মে গুগল ক্রোম চলে এবং সিনক্রোনাইজ করা যায়। পিসি মোবাইলের এই যুগে ক্রোম ব্রাউজার তাই সবচেয়ে এগিয়ে গেছে।তথ্য গবেষণাপ্রতিষ্ঠান স্ট্যাটকাউন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডেস্কটপ ট্যাবলেটে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্রোম ব্রাউজারের দখল ছিল ৪৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, ফায়ারফক্সের দখলে ছিল ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ, সাফারির দখলে ছিল ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ আর সব সংস্করণ মিলিয়ে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের দখলে ছিল ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের বিদায়গুগল ক্রোমের জনপ্রিয়তার যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের অস্তিত্ব। প্রযুক্তিবিশ্বে জোর গুঞ্জন, এক্সপ্লোরারকে বিদায় দিয়ে নতুন ব্রাউজার আনছে মাইক্রোসফট। পুরোনো অপারেটিং সিস্টেম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে (আইই) আরও উন্নত না করে স্পার্টান কোড নামে নতুন ব্রাউজার তৈরি করছে মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে নতুন ব্রাউজারটির দেখা মিলতে পারে।
নতুন এই ব্রাউজারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সব সুবিধা যুক্ত হবে। পাশাপাশি এটি হবে আরও দ্রুতগতির এবং এতে সহজে ব্রাউজ করা যাবে।
১৯৯৫ সালে চালু হওয়া ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজারটিই ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার। ২০০৪ সালে ফায়ারফক্স এবং ২০০৮ সালে গুগলের ক্রোম ব্রাউজার বাজারে আসার আগ পর্যন্ত মোট প্রায় ৯৭ শতাংশ ব্যবহারকারীর ভরসা ছিল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে। কিন্তু এখন? বাজারের তথ্য বলছে, গুগলের ক্রোমই বিনা মূল্যের ব্রাউজার হিসেবে শীর্ষে। এই শীর্ষস্থান ফিরে পেতে মাইক্রোসফটকে তাই নতুন উদ্যমেই মাঠে নামতে হবে, জিততে হবে ব্যবহারকারীদের মন। (টেক রাডার, সাইটপয়েন্ট)